জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে ইয়ুথ লিডারদের মতবিনিময়

এই অভ্যুত্থান আমাদের তরুণ প্রজন্মের একটি প্রজন্মগত লড়াইয়ের বহিঃপ্রকাশ। ৩৬ দিন এটির ব্যাপ্তি নয়; বরং পরিণতি। বিগত ফ্যাসিবাদী জমানায় গড়ে ওঠা কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন, ছাত্র নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন, আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন, সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন সহ আরো অনেক আন্দোলনের সমষ্টি। যেসবে কেবল ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে নয়; বরং কাঠামো আকারে ‘ফ্যাসিবাদ’ এর বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের লড়াইয়ের নানা উপাদান ও স্বর হাজির ছিল। সুতরাং, সেই বিচারে তরুণদের চিন্তা ও কথাকে গুরত্ব দিতে হবে।
বাংলা দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ব্যয় করে পার্শ্ববর্তী দেশে বসে বাংলাদেশ ও এর নাগরিকদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে পতিত ফ্যাসিবাদীরা। এই অভ্যুত্থানকে মি লি ট্যা ন্সি এবং এক্স ট্রি মি জ ম আকারে লেবেল করা হচ্ছে। অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও নারীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কর্তৃক নতুন বাংলাদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আশা করছি এই প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইনে ভাটা পড়বে এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের প্রকটতা কমবে।
বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ ইউএন সিস্টেমকে ওয়েপনাইজ করেছে তাদের কর্তৃত্ববাদকে জিইয়ে রাখতে। কিছু ইউএন বডিতে আওয়ামী লীগের লোকদের পলিসি এক্সপার্ট পজিশনেও দেখা গেছে। এই ব্যাপারে জাতিসংঘকে বিভাগীয় তদন্ত করা উচিত এবং পলিসি রিভিয়্যু করা উচিত। জাতিসংঘের মহাসচিব এই বিষয়ে আভ্যন্তরীণ তদন্তের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।