শফিক রেহমানের হাত ধরে যেভাবে এল ভালোবাসা দিবস!

বয়স পেরিয়ে গেছে ৯০। গুরুতর অভিযোগে মামলার আসামি হয়ে থেকেছেন দেশের বাইরে। তবে বছর ঘুরে ফেব্রুয়ারি আসলেই তাঁকে নিয়ে শুরু হয় চর্চা। তিনি কর্মজীবনে করেছেন অনেক কিছুই। তবে তাঁর পরিচিতি সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন।
এই সাপ্তাহিকের মাধ্যমেই বাংলাদেশে প্রচার হয় ভ্যালেন্টাইন ডের, তবে দিবসের নাম পাল্টে বাংলায় ভালোবাসা দিবস করে দেন শফিক রেহমান। এই দিনটির সূচনার জন্য গালমন্দ ও কম শোনেননি তিনি। তবে ভালোবাসা দিবস পালন ঠেকানো যায়নি। কেউ বলেন, বিদেশি সংস্কৃতির প্রচার করেছেন , কেউ বলেন ইসলামবিরোধী প্রচার করেছেন আবার কেউ বলেছেন স্বৈ*রাচার প্রতিরোধ দিবস ভুলিয়েছেন।
তবে শফিক রেহমান কখনো এই কথা মানেননি। তিনি ছিলেন এরশাদের ক*ট্টর সমালোচক। ১৯৮৪ সালে যায়যায়দিন পত্রিকা চালুর পর রাজনৈতিক কারণে তাকে বিদেশেও চলে যেতে হয়। ইংরেজদের শহরে গিয়ে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে প্রথম দেখলেন। ১৯৯৩ সালে দেশে ফিরে তার অনুকরণে চালু করলেন ভালোবাসা দিবস।