সাত কলেজের সংকট সমাধানে দ্রুত স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া সম্পন্ন কর

পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের যেন কোনো প্রকার বিড়ম্বনা তৈরি না হয় সে অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণের দাবি
গতকাল (২৬ জানুয়ারি) গভীর রাত থেকে চলমান ৭ কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসানে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার এবং দ্রুত স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। আজ (২৭ জানুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ এ আহ্বান জানান।
নেতৃবেন্দ বলেন, “ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজের সংকট সমাধানে অবিলম্বে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা দরকার। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে আরও তৎপর হতে হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৭ কলেজে কোনো শিক্ষার্থীর ভর্তির দায়িত্ব নেবে না। এক্ষেত্রে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ায় যেন শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের বিড়ম্বনা তৈরি না হয় সেই কথা মাথায় রেখে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, যেন আবারও নতুন করে সংকট তৈরি না হয়।”
নেতৃবৃন্দ বলেন, “গতকাল যে সংঘাতময় পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তা এড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল। যেকোনো যৌক্তিক দাবি উত্থাপনের পরিবেশ থাকা জরুরী। প্রশাসনের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো সহমর্মিতা ও সহনশীলতার সাথে শোনা এবং সংকট সমাধানের কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া, কিন্তু হয়েছে তার উল্টো।”
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “একই সাথে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে যারা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা দেখলাম গতকাল যথাযথ সহনশীলতার পরিচয় না দিয়ে পুরোনো কায়দায় পুলিশি হামলা করে আন্দোলন দমনের চেষ্টা হয়েছে, ছাত্রদের আহত করা হয়েছে। এই পুলিশি হামলার বিচার করতে হবে এবং আহতদের চিকিৎসার দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।”
তারা আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আমরা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। আজকে যেকোনো পরিস্থিতিতেই ছাত্রদের সঙ্গে ছাত্রদের মুখোমুখি অবস্থান এই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বিরোধী। সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি— আমরা জাতীয় সকল সমস্যায় ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই গড়ে তুলেছি। ফলে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব তৈরি করা উচিত নয়। প্রতিষ্ঠানিক আত্মম্ভরিতায় পড়ে আমরা যেন মূল সমস্যা থেকে মুখ না ফেরাই। আমাদের এই দ্বন্দ্ব থেকে স্বার্থান্বেষীদের স্বার্থসিদ্ধি যেন না হয় সেই বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।”