বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির কী হবে?-মুহাম্মদ আবদুল জব্বার

রাজনীতি জনগণের জন্য। তাই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনগণ তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে নেয়। কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার নামে ফ্যাসিবাদী নীতিপদ্ধতি জনগণের ওপর চাপিয়ে দিলেই সময়ের পরিক্রমায় বিপত্তি বাধে। যেমন ’৬৯ এর নির্বাচনের জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে দেয়ার পরেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মেনে নেয়নি। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ এ স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। যদিওবা এই স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ের যোগসূত্রিতা অনেক আগের, যা ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল।
দেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার বয়স ৫০ বছর। ৫০ বছর পূর্বে পূর্ববাংলার জনগণ বলেছিল আমরা শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঁচতে চাই। আর ৫০ বছর পরে এসে আমরা এখনো একই কথা বলছি। আমরা বলছি আমার ভোটের অধিকার নেই, নেই ভাতের অধিকার। জান-মালের নিরাপত্তা নাই, নাই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি। যেখানে গুম-খুন মামুলি ব্যাপার। আমার সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার নাই। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে বলছি কিন্তু এখনো দেশে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমানার নিচে।
যে দলটি পাকিস্তানি শোষণের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল, সেই দলের হাতে মানুষ নিষ্পেষিত! সেই দলটি ক্ষমতার অব্যবহার করে নিজেদের খয়েরখাঁ নির্বাচন কমিশন বসিয়ে নির্বাচনের আগের দিন ভোট বাক্স ভর্তি করে নির্বাচন ব্যবস্থার কবর রচনা করেছে। সেই চুরির নির্বাচনে ভুয়া জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের সামনে দরাজকণ্ঠে বলা হচ্ছে আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত! আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনাকে সমুন্নত করছি! এদের নির্জলা মিথ্যার বেসাতি দেখে শয়তানও মুচকি হাসে! একটি দেশের জনগণের জন্য এমন অবস্থা কত হতাশার ও কষ্টের তা বলে-কয়ে শেষ করা যাবে না। সে যাই হোক প্রকৃত সত্য হলো দেশের মানুষ জুলুম নির্যাতনের কারণে নীরব থাকলেও তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রকে স্বাধীনতা-পূর্ব পশ্চিম পাকিস্তানিদের মতই দেখে। এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে।
বিস্তারিত লিঙ্ক কমেন্ট বক্সে