কাস্টমস হাউসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধনে বক্তারা
আওয়ামী দোসররা সম্মানের সাথে কাস্টমস হাউস থেকে সরে যান
আসন্ন সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নির্বাচনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রত্যাখ্যানের দাবিতে নগরীর বন্দর সংলগ্ন কাস্টমস হাউসের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারী) দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও গুলিবিদ্ধ ছাত্র প্রতিনিধিরা। মানববন্ধন শেষে ছাত্র প্রতিনিধিরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
মানববন্ধনে ছাত্র নেতৃবৃন্দরা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস হচ্ছে বাংলাদেশের স্বর্ণধার। রাজস্বের সিংহভাগ পূরণ করা হয় এখান থেকে। চট্টগ্রাম বন্দর জাতির অহংকার। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এখানে লুটতরাজ করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। তাই আগামীতে কাস্টমসে যাতে অনিয়ম দুর্নীতি না চলে সেজন্য আওয়ামী সুবিধাভোগিদের অলরেডি চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বৈরাচারের দোসররা যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। তাই আওয়ামী দোসররা সম্মানের সাথে কাস্টমস হাউস থেকে সরে যান, তা না হলে পরিণাম ভালো হবে না। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আমরা প্রস্তুত। আমরা রক্ত দিতে জানি। আমাদের সাথে বিপ্লবী দেখাতে যাবেন না। আমাদের সাথে চ্যালেঞ্জ করলে আমরাও আপনাদের সাথে চ্যালেঞ্জ করলাম। আমরা জনগণের কাতারে, আপনারা ফ্যাসিস্টের কাতারে। আরেকবার যদি নির্বাচন করার সাহস দেখাতে যান, তাহলে সেদিন হবে আপনাদের শেষ দিন।
ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির জন্য যেটা ভালো হবে সেটাই আমরা করবো। সরকারি প্রত্যেকটা সেক্টরে যেন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, গণতন্ত্র আছে এমন ব্যবস্থা করবো। আমরা এমন নিয়মকে আবার পুনরুজ্জীবিত করবো না, যেটা গত ১৬ বছর আমাদের করায়ত্বে রেখেছে। তাই আমরা সেই জায়গায় ফিরতে চাই না।
বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে হাসিনার প্রেত্মারা সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে গেছে।এখন এখানে এসে আবারো কিছু মানুষের সহযোগিতায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছে। জুলাই আন্দোলনের আমরা যারা আছি তারা থাকতে এটা কোনোভাবেই হতে দেব না। কাস্টমসে যে নির্বাচন সেখানে আওয়ামী দোসররা যাতে কোনোভাবেই অংশগ্রহণ করতে না পারে সেভাবেই আপনারা সজাগ থাকবেন। হাসিনার দোসররা কারো সহযোগিতায় যদি নির্বাচন করতে আসে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন।
কাস্টমস হাউসের প্রতিটা সেক্টরে ঘুষ বাণিজ্যের কথা তুলে ধরে তারা বলেন, কাস্টমস হাউসের মাধ্যমে প্রতিটা সেক্টরে এত ঘুষ বাণিজ্য চলতো কোনোভাবেই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতো পারতো না। কাস্টমস নির্বাচনে এমন লোক চাই, যারা সম্পূর্ণভাবে সৎ থেকে কাজগুলো করবে। কারণ, বিগত সময়ে অসৎ লোক থাকায় ঘুষ বাণিজ্য চলতো, লুটপাত, হয়রানি করা হতো। যার কারণে মানুষ ঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারে নাই। কাস্টমস হাউসের যে ভোগান্তি সেটা গত ১৬ বছর ধরে দেখে আসছি।
এতে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের প্রতিনিধি মো. শাহেদ, শহিদুল ইসলাম সজিব, শফিকুল ইসলাম জিয়া, ফাহিম আহম্মেদ সাগর, ফারহান জামিল, তৌসিফ ইমরোজ, কায়েম হোসাইন আবিদ, ওমর ফারুক চৌধুরী, মো. রাশেদ, সাগর হোসেন, মো. রাফি প্রমূখ।
সংবাদ প্রেরক
ওমর ফারুক সাগর
সমন্বয়ক
চট্টগ্রাম জেলা
০১৮৬৩৮১৬৫৭৮