৪৩ তম বিসিএসের গেজেট হতে ১৬৮ জনকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও পুনর্বিবেচনার দাবি
গত ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে ৪৩ তম বিসিএসের গেজেট হতে বিভিন্ন ক্যাডারের প্রার্থীদের মধ্য হতে ১৬৮ জন প্রার্থীকে বাদ দেয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবী জানিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “ বাংলাদেশ রাষ্ট্র মানুষের জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে পারছেনা। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল সরকারি চাকরির ক্ষেত্র। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি যুবসমাজের বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘সোনার হরিণ’ হয়েই শিক্ষার্থীদের কাছে ধরা দেয়– তাও দীর্ঘ সময় ও পরিশ্রমের পথ পাড়ি দিয়ে। সেই নিয়োগের সর্বশেষ ধাপে প্রকাশিত গেজেট হতে এরকম আচমকা এতজন প্রার্থীর নাম বাদ দেয়ায় জনমনে বিভিন্ন আশঙ্কা ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমরাও গভীর উদ্বিগ্ন বোধ করছি।”
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “ দীর্ঘদিনের আওয়ামী দুঃশাসন পেরিয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ মানুষ হিসেবে আমাদের অধিকার বুঝে নেয়ার এক প্রত্যয়ে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক চিন্তা ও কাঠামোকে গড়ে তোলার আহ্বানকে আমাদের সামনে এনে দিয়েছে। সকলে মিলে বৈষম্যহীন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়বার স্বপ্নেই তো এত লড়াই, আত্মবলিদান এবং রক্তপাত । ফলে যে নতুন বাংলাদেশে আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না যা মানুষের মনে নতুন করে বৈষম্যের জন্ম দেয়। সম্প্রতি ৪৩ তম বিসিএসের গেজেটে প্রকাশিত প্রার্থীদের নামের তালিকা হতে যে ১৬৮ জনকে বাদ দেয়া হলো তার সুনির্দিষ্ট কারণ দেশের জনগণ জানতে চায়। আমরা একটি গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন হিসেবে বলতে চাই, এ ধরনের সিদ্ধান্ত কোনো ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়, রাজনৈতিক বিদ্বেষ বা অন্য কোন বৈষম্যমূলক অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নেওয়া না হয়। আমরা চাই, একজনের প্রকৃত যোগ্যতাকে যেন কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা না হয় এবং কারও উপর যেন অবিচার না হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেকোনো প্রকার বৈষম্য এবং অন্যায়ের পরিপন্থী– তা যেন আমরা ভুলে না যাই।”
উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবী জানাই, সংবেদনশীলতার সঙ্গে এই প্রজ্ঞাপন পুনর্বিবেচনা করে ফল প্রকাশ করুন!
একই সাথে ছাত্র যুবকদের কাছে আমাদের আহ্বান, সকলের জন্য কর্মসংস্থান এবং বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মানের লড়াইকে বেগবান করুন!