লুটপাটের উন্নয়ন চট্টগ্রামবাসীর ভোগান্তি বাড়িয়েছে; ভূ-রাজনীতির প্রশ্নে কোন আপোষ হবে না – এবি পার্টি
চট্টগ্রামের উন্নয়নে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করতে হবে, গড়ে তুলেন নতুন তিন শিল্প – ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ
সঠিক মূল্যায়ন ছাড়া কর্ণফুলী টানেল এবং ফ্লাইওভারগুলোর মতো লুটপাটের প্রজেক্ট না করে একই বাজেট দিয়ে খুলনা/বাগেরহাট থেকে কক্সবাজার উপকুলীয় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প তৈরী করতে পারলে লক্ষ লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হতো। লুটপাটের উন্নয়ন চট্টগ্রামবাসীর ভোগান্তি শুধু বাড়িয়েছে; পর্যাপ্ত এক্সিট পয়েন্ট না থাকায় এই ফ্লাইওভারগুলো যানজট বাড়িয়েছে, কমায়নি। তাহলে ফ্লাইওভারগুলো দিয়ে চট্টগ্রামের কি উন্নয়ন হলো? বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থ ও আত্ম-মর্যাদাবোধের প্রশ্নে কোন ছাড় নাই। বাংলাদেশ নিয়ে যারা চক্রান্ত লিপ্ত তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারকে ঘিরে পর্যটন, মৎস্য এবং জাহাজ ভাঙা শিল্পের বিকাশ হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর কর্তৃক আয়োজিত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে “মিট দ্যা প্রেস” এ আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। উক্ত “মিট দ্যা প্রেস” অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক এডভোকেট গোলাম ফারুক, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর সহকারী সদস্যসচিব সৈয়দ আবুল কাশেম, অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার যায়েদ হাসান চৌধুরী সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। চট্টগ্রাম মহানগর নিয়ে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন এবি পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সদস্য সচিব এবং চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমান। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরকে সিটি গভর্নমেন্টে উন্নত করা এবং এরজন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, বন্দর থেকে অর্জিত রেভিনিউর অংশীদারিত্ব এই সিটি গভর্নমেন্টের জন্য নিশ্চিত করা, কর্ণফুলী নদী ও খালগুলোর যুগোপযোগী সংস্কার এবং নগরী সম্প্রসারণ প্রকল্প নিশ্চিত করে জলাবদ্ধতা এবং যানজটের সমস্যার সমাধান করা, চট্টগ্রামকে ব্যবসা ও আমদানি-রফতানীর হাব হিসেবে প্রস্তুত করা, পরিবেশ বিপর্যয় রোধে পাহাড় পুনরুদ্ধার করার ব্যবস্থা করা। ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আমাদের বঙ্গোপসাগর থেকে মায়ানমার এবং ভারতীয় জেলেরা মৎস্য আহরণ করে নিয়ে যায় অথচ আমাদের জেলেদের পর্যাপ্ত আধুনিক মাছ ধরার জাহাজ এবং প্রশিক্ষন না থাকায় তারা গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ করতে পাচ্ছে না। সমুদ্র বিজয়ের নামে বাটপারি করে, আমাদের সমুদ্র এলাকা থেকে ভারত এবং মায়ানমার তেল গ্যাস নিয়ে যাচ্ছে অথচ বাপেক্সকে দায়িত্ব দিয়ে, সক্ষমতা বাড়িয়ে তেল গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়নে এবি পার্টির দেওয়া পাঁচ দফার ভিত্তিতে চট্টগ্রামবাসীকে সংগঠিত হওয়ার এবং সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শেষে এবি পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক এডভোকেট গোলাম ফারুক উপস্থিত সাংবাদিকসহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে উক্ত “মিট দ্যা প্রেস” সমাপ্ত করেন।