চট্টগ্রাম

বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার বিক্ষোভ মিছিল


এম.ভি আল-বাখেরা জাহাজে ৮ নাবিক হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করে নৌ পথে নিরাপত্তা জোরদার করুন।এম. নুরুল হুদা চৌধুরী

এম. ভি আল-বাখেরা জাহাজে ৮ নাবিক হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করে নৌ পথে শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা জোরদার, নাবিকদের নিয়মিত বেতনভাতা ও ছুটি কার্যকরসহ বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের দাবিকৃত ১১ দফা বাস্তবায়ন করে নিরাপদ নৌ-পথ, শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করার দাবিতে- বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি, চট্টগ্রাম লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কার্গো টলার ভাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম শাখা কমিটি, বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অদ্য ২৫ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় কর্ণফুলী নতুন ব্রিজ মোড় চত্বরে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মো আলাউদ্দিন মাঝির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি এম. নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, খুনীরা উৎ পেতে আছে, প্রশাসনের নিরবতায় তাদের দৌরত্ব বেড়ে গেছে। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নতজানু। তাই সকল ষড়যন্ত্রকে উৎখাত করে নৌপথকে নিরাপদ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগের কার্যকরি সভাপতি মো. আবু তাহের মাস্টার, সহ সভাপতি মো. আজগর হোসেন তালুকদার, বাংলাদেশ নৌ যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখার কার্যকরি সভাপতি মো. নুরুল আলম, সহ সভাপতি মো. ইদ্রিস, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো নুরুল হোসেন, মো. জাবের সুখানী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর সুখানী সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য রাসিবুল ইসলাম রাসেল, নুর আলম, মো. মুসা, নাজিম উদ্দিন, আমির হোসেন, মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ কার্গো টলার ভাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি মো: ফেরদৌস আলম, সাধারণ সম্পাদক জামাল সুকানি, মো. পারভেজ সুকানি প্রমুখ। বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য নৌ-শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি দাওয়া উত্থাপন করে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনের বাধ্য হয়ে এদেশের প্রতিটি সরকার বার বার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। দেশের পণ্য আমাদানী রপ্তানি সরবরাহ নিশ্চিত করে নৌ শ্রমিকরা। অথচ এসব শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতার বহি:প্রকাশ। প্রচলিত রাষ্ট্রীয় বাহিনী নৌ পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। বক্তারা দাবি করেন, নিহত নাবিকদের প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক, অসুস্থ নাবিকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বিনা খরচে সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করে ক্ষতিপূরন প্রদান করা হোক এবং হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার দাবি জানান। অন্যথায় আগামী ২৬ ডিসেম্বর মধ্য রাত থেকে নৌ পথে লাগাতার কর্মবিরতির কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য শ্রমিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button