ইবিতে সিওয়াইবি কর্তৃক নবীন ও প্রবীণ বিদায়
ইবি প্রতিনিধি
“সচেতন হোন সুন্দর জীবনের জন্য” এই স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয়ে কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি) কর্তৃক নবীন বরণ ঐ প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সকাল ১০ টায় ইবির বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে নিচতলায় এই অনুষ্ঠানে শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রবীণদের হাতে সার্টিফিকেট ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয় এবং নবীনদের বিভিন্ন উপহার সামগ্রী (কলম, ভোক্তা অধিকার আইন ও অধিকার সচেতনতা মূলক লিফলেট, নাস্তা,) দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ও কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদুজ্জামান, সিওয়াইবির সভাপতি ওয়াসিফ, সারাধণ সম্পাদক রিফাত কোষাধ্যক্ষ রাউফুল্লাহ খান। এছাড়াও উপস্থিতি ছিলেন নবীন ও প্রবীণ সদস্যবৃন্দ ও এক্সিউটিভ সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. রাশিদুজ্জামান বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে যতগুলো সংগঠন আছে তার মধ্যে সিওয়াইবি একটি অন্যতম ও ব্যতিক্রম সংগঠন। এই সংগঠনের সদস্যরা ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাসের বাইরে সর্বত্রই সচেতনতা ও সাহসীকতার পরিচয় দেয়। তিনি আরো বলেন, যিনি ভোগ করেন তিনিই মূলত ভোক্তা। এমন কেউ নেই যিনি ভোগ করেন না কিন্তু অনেক ভোক্তাই আছে যারা নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয় আর তাদেরকেই সচেতন এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সে সিওয়াইবি কাজ করে। পরিশেষে, নবীন, প্রবীণদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে নবীনদের উদ্যমী হয়ে উঠতে ও সংগঠনের মাধ্যমে ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান।
সিওয়াইবির সভাপতি ওয়াসিফ বলেন, আজকের নবীনরা এমন এক সময়ে এসেছে যে সময়ে আমাদের দেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা লাভ করেছে। আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজারো শহীদদের প্রাণের বিনিময়ে এবং অনেক আহত ভাই-বোনদের ত্যাগের মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, আমরা আগে এ সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করতে গিয়ে অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছি কিন্তু এখন আর সেই সময় নেই, এখন আমরা স্বাধীনভাবে এ সংগঠনের কাজকে আরো দ্রুতগামী করতে পারব এবং ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে পারবো। তাই তিনি সকলকে ভোক্তার অধিকার নিজের করার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য যে, ভোক্তা অধিকার সহযোগী সংগঠন সিসিএস এর যুব সংগঠন কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এটি ক্যাম্পাস এবং হলের খাবার মান ও মূল্য নির্ধারণে তদারকি করে। আসেপাশের এলাকায় মেয়াদউত্তীর্ণ ও মেয়াদহীন খাবার বন্ধের জন্য প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান এবং ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতা মূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে। এছাড়াও লিডারশিপ, স্কিল ট্রেনিং সহ সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে।