গণহত্যার সব পরিকল্পনা জানতেন পলক
ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার গণহত্যার সব পরিকল্পনা জানতেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গণহত্যার তথ্য দেশ ও বিশ্ববাসী জানতে না পারেন সেই লক্ষ্যে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জুলাই-আগস্টে তিনি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গোটা দুনিয়া থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন পলক। এ কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে জুনাইদ আহমেদ পলক গণহত্যার সব পরিকল্পনার বিষয়ে জানতেন। এসব পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় গ্রেফতারের পর কারাগারে থাকা সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ১৮ ডিসেম্বর সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি মো: গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো: মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রাষ্ট্রপক্ষে বৃহস্পতিবার শুনানিতে অংশ নেন চীফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত চীফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ।
গত ১৮ নভেম্বর গণহত্যার অভিযোগে জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন ও শুনানির জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
তাজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার একটি পিটিশনে জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রাইব্যুনালে অনুমতি চেয়েছিলাম। ট্রাইব্যুনাল সেটি মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর একদিনের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।
চীফ প্রসিকিউটর বলেন, পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে তিনি সে সময়ে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে ছাত্র-জনতার ওপর যে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সেগুলোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জুনাইদ আহমেদ পলক এসব পরিকল্পনার বিষয়ে জানতেন। এসব পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।