রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
প্রেস রিলিজ
তারিখঃ 12/12/24
রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় বক্তাদের মুখে মুখে উঠে এসেছে নতুন বাংলাদেশের প্রত্যয়। ৫ আগস্টের পর কোন কোন রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করে বক্তারা বলেছেন, ‘আগামীতে অন্য কোন ফ্যাসিস্টও যেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসতে পারে। এ জন্য ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
শুক্রবার বিকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি, রাজশাহী। ‘রাজশাহী রাইজিং’ নামের এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের রাজশাহীর শহীদ সাকিব আনজুমের বাবা মাইনুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সে সিস্টেমটা ভাঙতে চাই, যে সিস্টেমে যে কেউ, আমি প্রধানমন্ত্রী হলেও যেন আমাকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার একটা দানব না বানিয়ে ফেলে। এই পরিবারতন্ত্রের জন্য তো সাকিব আনজুম জীবন দেয়নি। আমরা দেখছি যে, ৫ তারিখের পর থেকে শুধু মনে হচ্ছে যে হাতবদল। কিছু কিছু গোষ্ঠী নিজেদের নির্বাচিত মনে করছে। মানসিকভাবে মনে করছে যে ক্ষমতায় চলে গিয়েছে। পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সভায় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সাইফ মুস্তাফিজ বলেন, ‘বর্তমানে ইলেকশনের একটা তাড়া দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, তাদের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস আছে আমরা সেই জায়গাটা ফিল করি। কিন্তু এখনই যদি নির্বাচন হয়, তাহলে আমরা পুরনো ফ্যাসিবাদের জায়গায় ফিরে যাব। আমরা সেই জায়গাটাই আসলে ফিরে যেতে চাই না।’ সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি চান, জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকেও ব্যালটের রাজনীতি হবে। আপনাদেরকে নিয়েই হবে। আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী, এমপি, মন্ত্রী আপনারাই হবেন। আপনাদের মধ্য থেকেই হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে।’
কেন্দ্রীয় সহমুখপাত্র তাহসিন রিয়াজ বলেন, ‘আমাদের কথা ছিল ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার বিলোপ। কিন্তু দুর্নীতি আছে? ঘাট দখল আছে? আমলাতন্ত্র আছে না? এটা কি নতুন বাংলাদেশ? এই বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ রক্ত দিয়েছিল? আমরা সেই ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার বিলোপের কথা বলছি, যে আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনা স্বৈরাচার হয়ে উঠেছিল। ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে গোড়া থেকে যেন আর কেউ স্বৈরাচার হয়ে উঠতে না পারে।’
সভা সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মহুয়া মৌ ও রোহানা হক সেতু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির মরিয়ম সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেশকাত চৌধুরী মিশু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার, পৃষ্ঠপোষক রাশেদ রাজন, জাতীয় নাগরিক কমিটির স্থানীয় সংগঠক সাইফুল ইসলাম, আন্দোলনকর্মী নাহিদুল ইসলাম সাজু, শুভজিৎ রায় প্রমুখ।