ক্লেপটোক্রেসি ও দুর্নীতি বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে দিনব্যাপী কর্মশালা
চট্টগ্রাম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪:
আজ চট্টগ্রাম বিভাগে “ক্লেপটোক্রেসি নিয়ে জ্ঞান-বিনিময় এবং সততার চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে” শীর্ষক একটি দিনব্যাপী কর্মশালা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালাটি ট্রান্সন্যাশনাল রেসপন্সেস অ্যাগেইনস্ট করাপশন অ্যান্ড ক্লেপটোক্রেসি (ট্র্যাক) III প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত হয়, যা আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর আর্থিক সহায়তায় রূপসা সংস্থা বাস্তবায়ন করছে।
কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্র এবং সাংবাদিকদের মধ্যে ক্লেপটোক্রেসি ও দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এতে অংশগ্রহণকারীরা দুর্নীতির প্রতিরোধ, নীতিমালা সংস্কার এবং মাঠ পর্যায়ে কার্যকর ভূমিকা পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রূপসা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় মণ্ডল। তিনি অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রূপসার প্রোগ্রাম পরিচালক শেখ মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ড. মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি ক্লেপটোক্রেসি ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের সততা এবং প্রতিশ্রুতির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ সময়োপযোগী এবং দেশের তরুণ প্রজন্মকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন করতে জাতীয় পর্যায়ে এই ধরনের কর্মশালা আয়োজন করা উচিত।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজীব নন্দী ক্লেপটোক্রেসি এবং দুর্নীতির ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সারাইপাড়া সিটি কর্পোরেশন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক নাজমুন নাহার, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের পরিচালক মোহাম্মদ শাফিউল আলম, ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্ট ফর সেফটি পিস অ্যান্ড জাস্টিসের এএমবি সৈয়দ মোস্তাফা আলম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হান্নান আলম, এবং সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কামরুল পাশা ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ভূমিকা পালনে তাদের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেন। তারা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং সততার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন।
উপস্থিত বক্তারা আশা প্রকাশ করেন যে, এ ধরনের কর্মশালা দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।