লক্ষ্মীপুরে বখাটের অত্যাচার সইতে না পেরে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীর আত্মহত্যা, নোয়াখালীতে আসামী গ্রেফতার।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অষ্টম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী মাইমুনা আক্তারকে (১৫) ইভটিজিং করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ওমর রাহিমের বিরুদ্ধে। সেই অপমান সইতে না পেরে গত ২৩ অক্টোবর আত্মহত্যা করেন ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় অভিযুক্ত মো. ওমর রাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল শুক্রবার রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুরের জমিদারহাট এলাকা থেকে র্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ।
গ্রেপ্তার ওমর রাহিম লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়িনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরলরেন্স গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে মৃত মাইমুনা আক্তার চরলরেন্স গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী মো. মামুনের মেয়ে ও উপজেলার আল আরাফা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
র্যাব জানায়, মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে একই এলাকার ওমর রাহিম বিভিন্ন সময় মাইমুনাকে উত্ত্যক্ত করতেন। ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ওমর রাহিম আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যান। একপর্যায়ে মাইমুনাকে নিয়ে ওমর এলাকায় বিভিন্ন কুৎসা রটান। ২৩ অক্টোবর সকালে মেয়েকে বাসায় রেখে মাইমুনার মা কেনাকাটার জন্য স্থানীয় করইতলা বাজারে যান। এরমধ্যে সে ঘরে গলায় ফাঁস দেয়। মাইমুনা তার মৃত্যুর জন্য ওমরকে দায়ীসহ বিচার দাবি করে একটি চিরকুটও লিখে রেখে যান। পরে পুলিশ ওই চিরকুটটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় মাইমুনার মা বাদী হয়ে ২৪ অক্টোবর কমলনগর থানায় ওমরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ১৮দিন পর ওমর রাহিমকে গ্রেপ্তার করল র্যাব।
আরও পড়ুন: গলায় রশি পেঁচানো ছিল শিশু মুনতাহার, ক্ষতচিহ্নও আছে শরীরে
এ বিষয়ে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে ওমর পলাতক ছিল। প্রাথমিকভাবে আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওমর রাহিমকে কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’