সিরাজগঞ্জে মেলায় যাদু প্রদর্শনীর আড়ালে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করায় ১০ জনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোর রাতে কাজিপুর সোনামুখী কাঠের আসবাবপত্রের মেলায় অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাবরিন আক্তারের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন।
এর আগে রাত ১২টার দিকে সেনাবাহিনী ও এনএসআই সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে দেড় শতাধিক অশ্লীল নৃত্য শিল্পী, যাদু প্রদর্শনীর প্যান্ডেল পরিচালনা কমিটির সদস্য ও দর্শকদের আটক করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটকদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকিদের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সোনামুখীতে প্রায় ৩০০ বছর ধরে কাঠের আসবাবপত্রের মেলা বসে। এই মেলা মাসব্যাপী স্থায়ী হয়। এ বছরও যথারীতি মেলাটি শুরু হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে বাইরে যাদু প্রদর্শনীর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে টিকিট বিক্রির করে ভেতরে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করা হচ্ছিল। এলাকার কিছু স্থানীয় নেতার সহযোগিতায় মেলায় ৪টি প্যান্ডেল স্থাপন করে অশ্লীলতা চালানো হয়। বিষয়টি জানতে পেরে এনএসআই ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানকালে অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেলগুলো ভেঙে ফেলা হয়।
এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাবরিন আক্তার জানান, আমরা গোপন সংবাদে জানতে পারি, সোনামুখী মেলায় অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। পরে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। এদের মধ্যে অশ্লীলতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় ১০ জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন— এনএসআইয়ের যুগ্ম পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সেনাসদস্যরা।