দুবাইয়ে এসে সাকিব জানলেন তাঁর দেশ ফেরায় মানা
ভারতের কানপুর টেস্টে নিজের অবসরের কথা জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি দেশের মাটিতে খেলার আশাও ব্যাক্ত করেছেন। দেশে আসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই এসেছিলেন সাকিব। সেখান থেকে তাঁর আসার কথা ঢাকায় ৷ কিন্তু দুবাইয়ে অবস্থানকরার সময়ে তাঁকে এখনই ঢাকায় আসতে মানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সাকিবের ঢাকায় আসার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে সাকিব-ঘনিষ্ঠ সূত্র।
সূত্র বলছে, নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এনে সাকিবকে দুবাই থেকে ঢাকায় আসতে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় কাছের মানুষদের কাছে বেশ হতাশা প্রকাশ করেছেন সাকিব। আপাতত তার ফ্লাইট কাল বিকেলে বদল করা হয়েছে। সেই ফ্লাইট নিয়েও এখনই শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়ার সুযোগ কম।
এর আগে জানা গিয়েছিল, সাকিব যে কদিন বাংলাদেশে থাকবেন, কড়া নিরাপত্তার বলয়েই তাঁকে থাকতে হবে। কমান্ডো নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সাকিবকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে তারকা অলরাউন্ডারের ফিরে যাওয়ার কথা ২৫ অক্টোবর।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি বলে গত জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় এ ব্যাপারে একদম নিশ্চুপ ছিলেন সাকিব। এতে ক্রিকেট সমর্থকদের বেশ বড় একটি অংশ সাকিবের উপর ক্ষুব্ধ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর এই প্রথম দেশে ফিরতেন তিনি। কিন্তু গতকাল রাতে হঠাৎ তাঁর দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা ছড়িয়ে পড়েছে।
সংবাদমাধ্যম ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাকিবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ছাত্ররা জানিয়েছে আজ তারা বিসিবি কার্যালয়ে চিঠি দিয়ে সাবেক অধিনায়ক যেন স্টেডিয়ামে ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে অনুরোধ করবেন। এবং অন্যান্য ছাত্রদের বিসিবি কার্যালয়ে এসে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন ক্রিকেটভক্তরা। ইউএনবি বলছে, গতকাল বুধবার সাকিবের কুশপুত্তলিকা পড়ানোর ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জেগেছে আবার।
গত মাসে কানপুর টেস্ট শুরুর আগে নিজের অবসরের দিনক্ষণ ঠিক করে দিয়ে সাকিব বলেছিলেন ঘরের মাঠেই ক্যারিয়ার শেষ করতে চান। এবং সে অনুযায়ী আগামী ২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টই তাঁর শেষ টেস্ট।
এদিকে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য ঘোষিত দলে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থান পেয়েছেন সাকিব। দল ঘোষণার পর আজ ১৭ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা ছিল তার। এর মধ্যে সাকিবের আসা নিয়ে জটিলতা তৈরি হলো।
উল্লেখ্য, সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রপতি সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করলে সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি।