সাকিবের মাঠ থেকে বিদায়, হান্নানের কাছে ‘বড় প্রাপ্তি’
সব শঙ্কা কেটে গেছে, সাকিব আল হাসানের ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচটি মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খেলতে চেয়েছিলেন। বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘোষিত প্রথম টেস্টের দলে তিনি আছেন। নির্বাচক হান্নান সরকার মনে করেন, ঘরের মাঠ থেকে সাকিবকে বিদায় দিতে পারাটা তাদের জন্য আনন্দের।
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সাকিবের নামে হত্যা মামলা হয়েছিল। তাই তিনি দেশে ফেরার নিরাপত্তা চেয়েছেন। সবকিছু বিবেচনা করেই সাকিব আশ্বস্ত হওয়ার পর দেশে ফিরছেন। বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য ১৫ দলের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটর নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সাকিবকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে হান্নান বলেছেন, ‘ক্রিকেট বোর্ড থেকে আমরা যখন গ্রিন সিগন্যাল পেলাম, সাকিব ইজ অ্যাভেইলেবল ফর সিলেকশন। স্বাভাবিকভাবেই আমরা সাকিবকে সিলেক্ট করেছি।’
সাকিবের মতো একজন ক্রিকেটারকে ঘরের মাঠ থেকে বিদায় দিতে পারা আনন্দ হিসেবে দেখছেন হান্নান, ‘এটা একটা আনন্দের বিষয় যে, এই ধরনের একটা লিজেন্ড প্লেয়ার, মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে পারছে; এটা প্লেয়ার হিসেবে তার জন্য যেমন পাওয়া, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদেরও সবার জন্য পাওয়া।’
আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুরে শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি। সাবেক এই ক্রিকেটারের বিশ্বাস ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি সাকিব স্মরণীয় করে রাখবেন, ‘আশা করছি এই ম্যাচটা হয়তো আমাদের একটা স্মরণীয় ম্যাচ হয়ে থাকবে। যে ম্যাচ দিয়ে সাকিব ভালো কিছু পারফরমান্সের পাশাপাশি ভালো অবদান রাখবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য।’
হান্নান আরও যোগ করেছেন, ‘সাকিবের জন্য অবশ্যই শুভকামনা থাকবে। এবং আমার মনে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা একটা বড় প্রাপ্তি হতে যাচ্ছে এ ধরনের বড় খেলোয়াড় মাঠ থেকে অবসর নিতে যাচ্ছে।’
সর্বশেষ খেলা ভারত সিরিজের স্কোয়াড থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে একটিমাত্র বদল এনেছেন নির্বাচকরা। খালেদ আহমেদকে বাদ দিয়ে বাকিদের রেখে স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন তারা। দল নিয়ে হান্নান বলেছেন, ‘যেহেতু আমরা হোম সিরিজ খেলছি, সেখানে স্কোয়াডটা ছোট করে ১৫ জনে করা হয়েছে। হোম অ্যাডভান্টেজ নেওয়ার চেষ্টা সব দলই করে থাকে, সেটা আমরাও হয়তো মাথায় রেখেছি। সে জায়গা থেকে একজন পেসার কমিয়ে তিন জন নিয়ে স্কোয়াড সাজানোর চেষ্টা করেছি, ৮ জন ব্যাটার আছে, দুজন অলরাউন্ডার, দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার আছে।’
দলটাকে ভারসাম্যপূর্ণ বলেছেন হান্নান, ‘সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় যথেষ্ট ব্যালেন্সড একটা দল। ক্যাপ্টেন, কোচের হাতে অপশন আছে। তারা যেভাবে দলটা সাজানোর চেষ্টা করে, বিকল্পটা দিয়েই দল সাজানোর চেষ্টা করেছি। এই দলে যে নেই, খালেদ, সে এনসিএল খেলবে।’
ভারত সিরিজের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘরের মাঠে এই সিরিজে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে বলেই বিশ্বাস সাবেক এই ক্রিকেটারের, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা খুবই ভালো রেজাল্ট করেছিলাম। তারপরে ভারতের সঙ্গে সেখানে আশানুরূপ রেজাল্ট করতে পারি নাই। অবশ্যই আমাদের এই সিরিজটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ক্ষেত্রে এই সিরিজটার ওপর অনেকটা নির্ভর করছে কীভাবে ফেস করবো। আশা করছি যে আমরা যেভাবে চিন্তা ভাবনা করেছি বা পরিকল্পনা করেছি; ওই অনুযায়ী খেলোয়াড়রা খেলতে পারবে। আশা করছি এই সিরিজে প্রত্যাশিত ফল পাবো।’