আইরিশ
হিপহপ ব্যান্ড নিক্যাপকে কানাডায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সরকার। অভিযোগ, ব্যান্ডটি হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো
গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জোগানোর কারণে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, হাঙ্গেরি ও নরওয়ের পর
কানাডা সরকারের চক্ষুশূল হয়েছে ব্যান্ডটি। আগামী মাসে কানাডার টরন্টো
ও ভ্যানকুভারে নিক্যাপের কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল।
আল–জাজিরা ও আরব নিউজের
তথ্য অনুযায়ী, কানাডার সরকার জানিয়েছে, ‘এই ব্যান্ড হিজবুল্লাহ
ও হামাসের মতো সংগঠনের প্রতি
প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে। তাই তাদের কানাডা
প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে
অপরাধ
দমন-সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি ও লিবারেল এমপি
ভিন্স গাসপারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওতে বলেছেন,
‘বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য, সহিংসতায় উসকানি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে
দৃঢ় অবস্থানে আছি। রাজনৈতিক বিতর্ক
ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য জরুরি, তবে
সন্ত্রাসী সংগঠনের খোলামেলা সমর্থন কখনোই মুক্ত মতপ্রকাশ নয়।
এদিকে
এর প্রতিবাদ জানিয়েছে নিক্যাপ। তাদের অভিযোগ, ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থানের কারণে তাদের কণ্ঠ রোধের চেষ্টা
চলছে। ব্যান্ডের সদস্যরা বলেছেন, তাঁরা হিজবুল্লাহ বা হামাসকে সমর্থন
করেন না, আবার সহিংসতাকেও
সমর্থন করেন না।
ব্যান্ডের
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা
আজ আমাদের আইনজীবীদের ভিন্স গাসপারোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে
বলেছি। আমাদের চুপ করানোর জন্য
করা মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে
যাব। ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে,
তার বিরোধিতায় আমাদের কণ্ঠ বন্ধ করার
চেষ্টা আমরা মেনে নেব
না।
তবে
ব্যান্ডটি হাল ছাড়েনি, তারা
আদালতে যায়। আদালত সরকারের
সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
এটি ছিল শিল্পের স্বাধীনতার
এক বড় জয়।
এখানেই
শেষ নয়। ২০২৪ সালে
লন্ডনে এক কনসার্টে নিক্যাপের
সদস্য লিয়াম ওগ ও’হান্নাই,
যিনি মঞ্চে মো চারা নামে
পরিচিত, হিজবুল্লাহর পতাকা প্রদর্শন করেন। এ ঘটনায় তাঁর
বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়।
গত সপ্তাহে তাঁর জামিন দেন
ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। মামলার শুনানি ধার্য করা হয় ২০
আগস্টে। নিক্যাপ আগেই জানিয়েছিল, তারা
এ অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ মনে
করে, তারা আদালতে জোরালোভাবে
তা মোকাবিলা করবে।
গত
জুলাইয়ে ‘ইহুদিবিদ্বেষের’ অভিযোগে নিক্যাপকে তিন বছরের জন্য
হাঙ্গেরিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সরকার।
তথ্যসূত্র:
আরব নিউজ
ধ্রুবকন্ঠ/এমআর
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আইরিশ
হিপহপ ব্যান্ড নিক্যাপকে কানাডায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সরকার। অভিযোগ, ব্যান্ডটি হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো
গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জোগানোর কারণে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, হাঙ্গেরি ও নরওয়ের পর
কানাডা সরকারের চক্ষুশূল হয়েছে ব্যান্ডটি। আগামী মাসে কানাডার টরন্টো
ও ভ্যানকুভারে নিক্যাপের কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল।
আল–জাজিরা ও আরব নিউজের
তথ্য অনুযায়ী, কানাডার সরকার জানিয়েছে, ‘এই ব্যান্ড হিজবুল্লাহ
ও হামাসের মতো সংগঠনের প্রতি
প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে। তাই তাদের কানাডা
প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে
অপরাধ
দমন-সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি ও লিবারেল এমপি
ভিন্স গাসপারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওতে বলেছেন,
‘বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য, সহিংসতায় উসকানি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে
দৃঢ় অবস্থানে আছি। রাজনৈতিক বিতর্ক
ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য জরুরি, তবে
সন্ত্রাসী সংগঠনের খোলামেলা সমর্থন কখনোই মুক্ত মতপ্রকাশ নয়।
এদিকে
এর প্রতিবাদ জানিয়েছে নিক্যাপ। তাদের অভিযোগ, ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থানের কারণে তাদের কণ্ঠ রোধের চেষ্টা
চলছে। ব্যান্ডের সদস্যরা বলেছেন, তাঁরা হিজবুল্লাহ বা হামাসকে সমর্থন
করেন না, আবার সহিংসতাকেও
সমর্থন করেন না।
ব্যান্ডের
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা
আজ আমাদের আইনজীবীদের ভিন্স গাসপারোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে
বলেছি। আমাদের চুপ করানোর জন্য
করা মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে
যাব। ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে,
তার বিরোধিতায় আমাদের কণ্ঠ বন্ধ করার
চেষ্টা আমরা মেনে নেব
না।
তবে
ব্যান্ডটি হাল ছাড়েনি, তারা
আদালতে যায়। আদালত সরকারের
সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
এটি ছিল শিল্পের স্বাধীনতার
এক বড় জয়।
এখানেই
শেষ নয়। ২০২৪ সালে
লন্ডনে এক কনসার্টে নিক্যাপের
সদস্য লিয়াম ওগ ও’হান্নাই,
যিনি মঞ্চে মো চারা নামে
পরিচিত, হিজবুল্লাহর পতাকা প্রদর্শন করেন। এ ঘটনায় তাঁর
বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়।
গত সপ্তাহে তাঁর জামিন দেন
ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। মামলার শুনানি ধার্য করা হয় ২০
আগস্টে। নিক্যাপ আগেই জানিয়েছিল, তারা
এ অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ মনে
করে, তারা আদালতে জোরালোভাবে
তা মোকাবিলা করবে।
গত
জুলাইয়ে ‘ইহুদিবিদ্বেষের’ অভিযোগে নিক্যাপকে তিন বছরের জন্য
হাঙ্গেরিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সরকার।
তথ্যসূত্র:
আরব নিউজ
ধ্রুবকন্ঠ/এমআর
আপনার মতামত লিখুন