প্রিন্ট এর তারিখ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||
প্রকাশের তারিখ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ভয়ের রাজনীতি কায়েম করতেই হাদিকে হত্যাা
ধ্রুবকন্ঠ ডেক্স ||
‘ওসমান হাদি মনে করতেন নির্বাচনই সমাধান। তাই
তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে ভয়ের
সংস্কৃতি তৈরি করতে হাদিকে হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি টার্গেটেড কিলিং। এমন কোনো
মানুষ পাওয়া যাবে না হাদির হত্যাকাণ্ডে দুঃখ পায়নি। হাদির মৃত্যুর পর যে এনআরকি
তৈরি হয়েছে- তা দুঃখজনক।’শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এফডিসিতে ‘তরুণ ভোটাররাই
হবে আগামী নির্বাচনে জয়—পরাজয়ের নিয়ামক’ শীর্ষক ছায়া সংসদে লেখক, গবেষক ও
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।‘প্রথম আলো-ডেইলি স্টার নিয়ে সমালোচনা থাকলেও
থাকতে পারে। কিন্তু হাদিকে যারা ভালোবাসেন তারা তার মৃত্যুতে এই গণমাধ্যম দুটিতে
ভাঙচুর করে আগুন দিতে পরেন না। এই ঘটনায় সরকার ভালো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এর
পেছনে দেশি-বিদেশি অপশক্তি জড়িত রয়েছে। আমাদের মধ্যে যখন কোনো অনৈক্য তৈরি হয়,
এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হুমকি দেয়, তখন ভেস্টেড ইন্টারেস্ট গ্রুপ সুযোগ নেয়।
বাংলাদেশে এখন নানা ভেস্টেড গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে, যারা দেশের স্থিতিশীলতা চায়
না।’অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির
চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা
কলেজকে পরাজিত করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের
বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। ছায়া সংসদটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা
করেও ওসমান হাদিকে বাঁচানো যায়নি। তার হত্যাকাণ্ডে আমরা ব্যতীত, মর্মাহত, লজ্জিত
ও শঙ্কিত। হাদির হত্যাকারীরা ইতিহাসে কাপুরুষ হিসেবে ঘৃণিত হয়ে থাকবে। এই
হত্যাকাণ্ড জাতির জন্য এক মর্মান্তিক কালো অধ্যায় হিসেবে রচিত হবে। হাদির রক্ত
বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। হাদির রক্ত বৃথা গেলে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ব্যর্থ
হবে। পরাজিত ফ্যাসিস্টরা পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনো হুমকি-ধমকি ও
ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে
হাদিকে হত্যা করা হয়। হাদি হত্যাকাণ্ডের পর জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রার্থীদের
নিরাপত্তা প্রদানের দাবি উঠেছে। তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
দেশে ফেরার পর সরকার এসএসএফের (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) মাধ্যমে তার
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে আশা করি।ছায়া সংসদে বিচারক ছিলেন সাংবাদিক কাজী হাফিজ,
মো. আলমগীর হোসেন, জাকির হোসেন লিটন, কাজী জেবেল ও মো. আতিকুর রহমান। প্রতিযোগিতা
শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ
কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত