প্রিন্ট এর তারিখ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||
প্রকাশের তারিখ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
এক রাতের মধ্যে বদলে গেল দিল্লি ও ঢাকার সম্পর্কের রূপরেখাা
ধ্রুবকন্ঠ ডেক্স ||
ভারতের
রাজধানীর বুকে একেবারে আক্ষরিক অর্থেই এক রাতের মধ্যে বদলে গেল দিল্লি ও ঢাকার সম্পর্কের
রূপরেখা।মঙ্গলবার
সন্ধ্যাতেও যেখানে দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে ভারতের বর্তমান ও সাবেক
কূটনীতিকরা, সেনা কর্মকর্তা বা থিংকট্যাংক ফেলো-রা দু'দেশের ঐতিহাসিক মৈত্রীর উদযাপনে
ব্যস্ত ছিলেন, পরদিন (বুধবার) সকালে সেই রাষ্ট্রদূতকেই সাউথ ব্লকে তলব করে একগুচ্ছ
প্রতিবাদ জানিয়ে রাখল দিল্লি।যদিও
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'ঢাকায় কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠী' যেভাবে ভারতীয় দূতাবাসকে
ঘিরে নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করেছে সেটাই রাষ্ট্রদূতকে তলব করার প্রধান উদ্দেশ্য –
তবে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের কোনো কোনো রাজনীতিবিদ
যেভাবে প্রকাশ্য ভারত-বিরোধী মন্তব্য করেছেন সেই সব 'উসকানিমূলক' বক্তব্যের প্রতিবাদ
জানানোটাও ছিল একটা বড় কারণ।এর
আগে চাণক্যপুরীর বাংলাদেশ হাই কমিশন প্রাঙ্গণে গত রাতের বিজয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে
রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ মন্তব্য করেছিলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আসলে
অত্যন্ত গভীর ও বহুমাত্রিক, অতি সমৃদ্ধ একটি অতীতের পটভূমিতে এর পারস্পরিক নির্ভরশীলতাও
অনুধাবন করা প্রয়োজন।এই
সম্পর্ককে তিনি বর্ণনা করেছিলেন 'অর্গানিক রিলেশনশিপ' হিসেবে, একাত্তরের যুদ্ধে যে
১৬৬৮জন ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশের ভূখন্ডে চরম আত্মত্যাগ করেছিলেন, প্রগাঢ় কৃতজ্ঞতার
সঙ্গে স্মরণ করেছিলেন তাদের কথাও।সেই
অনুষ্ঠানে তখন হাজির বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া একাধিক ভারতীয় সেনানী, ভারতীয়
সেনাবাহিনীর উপপ্রধান জেনারেল রাকেশ কাপুর, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার
বিভাগের প্রধান বি শ্যাম, ভারতের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মণিশংকর আইয়ার, ঢাকায়
ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা অন্তত চারজন সাবেক কূটনীতিবিদ, ওআরএফ-ব্রুকিংস-আইডিএসএর
মতো বহু থিংকট্যাংকের অজস্র গবেষক ও দিল্লির প্রথম সারির সাংবাদিকরা।অনুষ্ঠানের
ঠিক পর রিয়াজ হামিদুল্লাহ একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, পারস্পরিক আস্থা, মর্যাদা,
প্রগতিশীলতা, সুফল ভাগাভাগি আর অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতেই দুদেশের মানুষের শান্তি,
স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব। ওই পোস্টে তিনি ট্যাগ করেন ভারতের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়কেও। রাত পোহাতেই সেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই সাউথ ব্লকে ডেকে পাঠায় হাই কমিশনার
রিয়াজ হামিদুল্লাহকে।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ
কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত