প্রিন্ট এর তারিখ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||
প্রকাশের তারিখ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রেমিকাকে পাহাড়ে একা ফেলে যান প্রেমিক, অত:পর প্রেমিকার মৃত্যুা
ধ্রুবকন্ঠ ডেক্স ||
অস্ট্রিয়ার সর্বোচ্চ পাহাড় গ্রসমগ্লকনারে এক নারী পর্যটকের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কঠিন আবহাওয়ার মধ্যে তাকে ফেলে যাওয়ার অভিযোগে ৩৯ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই যুবক অভিজ্ঞ পর্বতারোহী হলেও তার প্রেমিকা ছিলেন নবীন পর্বতারোহী।নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর দুজন পাহাড়ে ওঠা শুরু করেন। তারা প্রয়োজনীয় জরুরি সরঞ্জামাদিও সঙ্গে নেননি। নিহত নারী পরেছিলেন সাধারণ স্নোবোর্ড ও নরম বুট। বিপজ্জনক পাহাড়ি পথের জন্য এটা মোটেও উপযুক্ত ছিল না। পথে দুজন প্রবল ঠান্ডা, তীব্র বাতাস এবং মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হন।তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবক তার প্রেমিকাকে রেখে সাহায্য আনতে নামেন এবং ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ওই নারী সেখানে একা পড়ে ছিলেন। সেখানে তিনি সম্পূর্ণ ক্লান্ত, তীব্র ঠান্ডায় অবশ এবং কোনো সুরক্ষা ছাড়া অবস্থায় ছিলেন।অভিযোগ উঠেছে, গুরুতর অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তি সময়মতো সাহায্য ডাকেননি। এমনকি কয়েকটি জরুরি কলও তিনি মিস করেন, কারণ তার ফোন ছিল সাইলেন্ট মোডে। তিনি জরুরি হেল্পলাইনে কল করেন ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে।উদ্ধারকর্মীরা সকালে ১০টার দিকে তাকে যেখানে ফেলে রাখা হয়েছিল সেখানে পৌঁছান। তখনই নিশ্চিত হয় তিনি মারা গেছেন। প্রবল বাতাসের কারণে ভোরে হেলিকপ্টার পাঠানোও সম্ভব হয়নি।অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অবহেলায় মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড হতে পারে। তার আইনজীবী দাবি করেছেন, এটি ছিল দুঃখজনক দুর্ঘটনা। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ ইনসব্রুক আঞ্চলিক আদালতে মামলাটি শুনানি হবে।সম্প্রতি কিরগিজস্তানের পোবেদা পিকে ৪৭ বছর বয়সী আরেক পর্বতারোহীর মৃত্যুর ঘটনাও আলোচনায় আছে, যেখানে খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ
কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত