প্রিন্ট এর তারিখ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||
প্রকাশের তারিখ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
জুলাই যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা ও নিরাপত্তা রাষ্ট্রের দায়িত্বা
ধ্রুবকন্ঠ ডেক্স ||
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত যোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়েই ‘নতুন বাংলাদেশ’এর জন্ম। এজন্য জুলাই যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা, নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে অবিলম্বে গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বক্তারা।বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ও ডিজএবিলিটি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ অটিজম অ্যান্ড ডিজএবিলিটি ইনস্টিটিউট (বাডি) আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। এসময় বক্তারা বলেন, জুলাই আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন—তারা আজও যথাযথ চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, বাসস্থান ও নিরাপত্তার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের পুনর্বাসনে সরকারের নীরব ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক।আরও
বক্তব্যা রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. মো. হেলাল উদ্দিন, মঞ্চ-২৪ এর মুখপাত্র ডিউক হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, আহত জুলাই যোদ্ধা আব্দুল্লাহ, নুরে আলমসহ অনেকে।বক্তব্যে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সমাজে প্রতিবন্ধী, অটিজম বা যুদ্ধাহত কেউই অবহেলার পাত্র নয়।’ আল্লাহর বাণী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষকে মানুষের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই আহত ও জীবন্ত শহীদদের অবমাননা করা মানবিকতার পরিপন্থী। এই জুলাই যুদ্ধ না হলে আমরা আজকে স্বাধীনভাবে কথা বলার সাহস পেতাম না।’ শাহাদাত বরণকারী ও আহত যোদ্ধাদের তালিকা সরকার এখনও প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রকৃত আহতদের তালিকা করে তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে রাষ্ট্রকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ বলেন, ২০০০-এর বেশি শহীদ, ৩০-৩৫ হাজার পঙ্গুত্ববরণকারী যোদ্ধা সারাজীবনের জন্য ডিজেবল হয়ে গেল। তাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন। আজও তারা চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের অপেক্ষায় আছে। এটি রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক।বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের অবহেলা করে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নতুন সরকারের জন্ম এই জুলাই যুদ্ধের মধ্য দিয়েই হলেও আন্দোলনে আহতদের প্রতি যথাযথ মনোযোগ নেই সরকারের। অনেক আহত ব্যক্তি আজও হাসপাতালে চিকিৎসাহীন অবস্থায় পড়ে আছেন।বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, আসল যোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করুন। শহীদদের সরকারি তালিকা প্রকাশ করতে হবে। প্রকৃত আহতদের শনাক্ত করে পুনর্বাসন, চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক বা অনৈতিকভাবে কেউ যেন আহত যোদ্ধাদের তালিকায় ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন বক্তারা।
এমএইছ/ধ্রুবকন্ঠ
কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত