প্রিন্ট এর তারিখ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||
প্রকাশের তারিখ : ২৬ নভেম্বর ২০২৫
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ৫ প্রস্তাবা
ধ্রুবকন্ঠ ডেক্স ||
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে
পাঁচ দফা প্রস্তাব জানায় ফেয়ার ইলেকশন অ্যাডভাইজারি কমিটি। আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম
হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব জানানো হয়েছে। ‘ফেয়ার ইলেকশন অ্যাডভাইজারি কমিটি’ হলো অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস
অফিসারদের একটি সংগঠন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক সচিব ড.
শরিফুল আলম। শরিফুল আলম বলেন, ‘২০২৪ সালের মহান জুলাই বিপ্লব আমাদের সামনে দেশ
গড়ার এক সুযোগ নিয়ে এসেছে। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশ
গড়ার কাজে ভূমিকা রাখছে। আগামী নির্বাচন হচ্ছে একটি স্থিতিশীল, ইনসাফপূর্ণ এবং
সুশাসনের বাংলাদেশ গড়ার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তাই আমরা এ সুযোগকে কোনোভাবে
নস্যাৎ হতে দিতে পারি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জাতীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে নির্বাচন
আয়োজন সবসময় চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সরকার ও নির্বাচন কমিশন যথাযথ নেতৃত্ব দিতে সক্ষম
হলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ এর জাতীয় নির্বাচনগুলো
আমাদের জাতীয় সক্ষমতার স্মারক। ইতিহাসের এ যুগসন্ধিক্ষণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু,
নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বশর্ত হিসেবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড
নিশ্চিতকল্পে নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের
জাতির প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতিশ্রুতি এবং আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে কিছু অপরিহার্য
পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতীব জরুরি।’ সংগঠনটি তাদের যে ৫টি প্রস্তাব তুলে ধরে, সেগুলো হচ্ছে— ১. প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। ২. প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ২ জন সদস্যের শরীরে
বডি-ওর্ন ক্যামেরা সংযোজন করা প্রয়োজন। ৩. নির্বাচনি দায়িত্বে নিরপেক্ষতার স্বার্থে লটারির মাধ্যমে মাঠ
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে। ৪. অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ৫. নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের
প্রত্যাশা— সর্বোচ্চ সততা, নিরপেক্ষতা ও দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করবে। সাবেক সচিব আরও বলেন, ‘পৃথিবীর প্রায় সব দেশে সিভিল সার্ভিসের
সদস্যরা নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা প্রদর্শন করেন। আশা করি,
আপনারা একই মাপের পেশাদারিত্ব দেখাতে সক্ষম হবেন। কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী বা
কোনো অনানুষ্ঠানিক শক্তির কাছে নির্বাচন কমিশন এবং মাঠ প্রশাসন যাতে নতজানু না হয়-
তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এজন্য স্পষ্ট
পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে স্পষ্টভাবে রিটার্নিং অফিসারের
নিয়ন্ত্রণে থাকে নির্বাচন কমিশনকে তা নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
নির্বাচনি পরিবেশ রক্ষা ছাড়া যাতে অন্যায়ভাবে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা না করে
সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাবলিকলি নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।’ সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও ফেয়ার ইলেকশন অ্যাডভাইজারি কমিটির সভাপতি ড.
খন্দকার রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন গাজিউদ্দিন মো. মনির, জাহিদুল
ইসলাম, আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।
এনএম/ধ্রুবকন্ঠ
কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ | Dhruba Kantho । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত