প্রিন্ট এর তারিখ : ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ||
প্রকাশের তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫
চীনের উৎসবে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন লেখক–সাংবাদিক মাহাদী সেকেন্দারা
মোঃ জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা প্রতিনিধি ||
আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক বিনিময়কে আরও বিস্তৃত করতে আগামী ২৬ নভেম্বর
থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চীনের ইউনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক
উৎসব। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তরুণ গবেষক, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের
অংশগ্রহণে আয়োজিত এই প্ল্যাটফর্মে এবারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন লেখক, সাংবাদিক
ও সংস্কৃতিকর্মী মোঃ সায়েদ মাহাদী সেকেন্দার।মাহাদী সেকেন্দার দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা, গবেষণা, সাহিত্য,
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও গণমাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন। বর্তমানে তিনি এটিএন নিউজে
স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি ঢাকার সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন
প্রভাষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।একাধারে সাহিত্যিক ও নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত মাহাদী ২০২২
সালে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় গল্পগ্রন্থ ‘প্রেয়সী গল্প’–এর লেখক। নাট্যচর্চায় তাঁর অবদান
রয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে; তিনি নটর ডেম নাট্যদলের আজীবন সদস্য (লাইফ–টাইম মেম্বার)।চীন সরকারের আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা
বিনিময়, গবেষণা-আলোচনা, প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং ইউনানের বিভিন্ন ঐতিহাসিক শহর—কুজিং,
কুনমিংসহ—গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন অংশগ্রহণকারীরা। পুরো ব্যয় বহন
করবে আয়োজক কমিটি।আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাহাদীর পরিচিতি নতুন নয়। ২০২৪ সালে রাশিয়া
সরকারের আমন্ত্রণে তিনি বিশ্ব যুব উৎসবে অংশ নেন। একই বছর তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন—যা তাঁর ক্যারিয়ারে বিশেষমাত্রা
যোগ করেছে।শিক্ষাজীবনে শুরু থেকেই তিনি ছিলেন কৃতি। খুলনা সরকারি মডেল
স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও রাজধানীর নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন
করার পর তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ভর্তি হন। পরে সেখান থেকেই মাস্টার্সে
প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।শিক্ষাকালেই তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সক্রিয় ছিলেন। জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও
তিনি যুক্ত ছিলেন একাধিক সাহিত্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে।
চীনের এই উৎসবে বাংলাদেশের তরুণ সাংস্কৃতিক-গবেষণা প্রতিনিধি
হিসেবে অংশ নেওয়াকে নিজের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক গবেষণা অভিজ্ঞতার বিস্তৃতি
হিসেবে দেখছেন মাহাদী সেকেন্দার।
কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত