প্রিন্ট এর তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ||
প্রকাশের তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত নন সাইয়েদ আবদুল্লাহ ও এম এ আজিজ, তবুও মনোনয়ন প্রত্যাশী: ক্ষোভে তৃণমূলা
পাবনা প্রতিনিধি ||
পাবনা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সাইয়েদ আবদুল্লাহ ও এম এ আজিজের নাম প্রকাশ পেতেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি,এই দুইজনের কেউই বিএনপি কিংবা এর অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। দীর্ঘদিনেও তাদের কোনো রাজনৈতিক ভূমিকা, ত্যাগ বা পরিচয় চোখে পড়েনি।তথ্যমতে, সাইয়েদ আবদুল্লাহ একটি অরাজনৈতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কখনো দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না। মাঝে মাঝে সরকারবিরোধী বক্তব্য দিলেও তা ছিল ব্যক্তিগত পর্যায়ের মতামত; বিএনপির পরিচয়ে নয়।স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন, “সরকারবিরোধী কথা বললেই তো বিএনপি করা হয় না। নাগরিক সমাজ, ভিন্ন রাজনৈতিক মতের মানুষ কিংবা জামায়াত নেতারাও সরকারবিরোধী মন্তব্য করেন। কিন্তু সেজন্য কেউ বিএনপির নেতা হয়ে যান না। তিনি কখনো দলের কোনো পদ-পদবি ব্যবহার করেননি, আন্দোলনেও ছিলেন না। তাহলে মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেন কীভাবে?”অন্যদিকে, সাংবাদিক এম এ আজিজের ব্যাপারেও অনুরূপ প্রশ্ন তুলেছেন নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, তিনি দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন; অনিয়ম তুলে ধরা ছিল তার পেশাগত দায়িত্বে এটিকে রাজনৈতিক অবদান বলা যায় না।তৃণমূল নেতাদের ভাষায়, “একজন সাংবাদিক তার পেশাগত কাজ করেছেন, সেটিকে বিএনপির আন্দোলন বা ত্যাগ বলা যাবে না। তিনি কখনো মাঠের আন্দোলনে ছিলেন না, মামলা-হামলার ঝুঁকি নেননি। এখন হঠাৎ দলীয় ট্যাগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন, এটা তৃণমূলের প্রতি অবিচার।”বছরের পর বছর বিএনপির কর্মীরা মানববন্ধন, সমাবেশ, মিছিল, মামলা ও দমন-পীড়নের মুখে থেকেও সংগঠনকে ধরে রেখেছেন, এ অভিযোগও উঠেছে। তাদের ক্ষোভ, দলের প্রকৃত কর্মীরা যখন নির্যাতিত, তখন দলের সঙ্গে সম্পর্কহীন দু’জন ব্যক্তি নিজেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী দাবি করায় হতাশা ছড়িয়ে পড়ছে।একজন স্থানীয় বিএনপি নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “যারা রাস্তায় রাস্তায় সংগ্রাম করেছে, তাদের বাদ দিয়ে বাইরের লোকদের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দেখা তৃণমূলের সঙ্গে বড় বিশ্বাসঘাতকতা।”এ ঘটনার পর এলাকায় আলোচনা তীব্র হয়েছে, অরাজনৈতিক পটভূমি থাকা ব্যক্তি কিংবা কেবল সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনকারী কেউ কি বিএনপির মনোনয়ন দাবি করতে পারেন?স্থানীয় নেতাকর্মীরা আরও বলছেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এবং মেধাবী নেতা। তিনি কখনোই ‘অতিথি পাখি’ বা সুযোগসন্ধানীদের গুরুত্ব দেবেন না। তিনি স্বজনপ্রীতির পক্ষেও নন,এটি আমরা দলের কর্মকাণ্ডে বহুবার দেখেছি।”
কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত