প্রিন্ট এর তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ||
প্রকাশের তারিখ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫
পশ্চিমে অবৈধ সেটেলারদের উচ্ছেদ: ইসরায়েলি বাহিনীা
ধ্রুবকন্ঠ ডেক্স ||
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী সোমবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি
স্থাপনকারীদের (সেটেলার) একটি আউটপোস্ট খালি করে ধ্বংস করেছে, যেখানে কর্তৃপক্ষ
‘গুরুতর সহিংসতার ঘটনা’র কথা উল্লেখ করেছে।ইসরায়েলি
গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জেরুজালেমের দক্ষিণে গুশ এৎসিয়োন
এলাকার তজুর মিসগাভি আউটপোস্টে বিপুলসংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।ভারী
যন্ত্রপাতিকে কাঠামো ধ্বংসের প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়, ফুটেজে দেখা যায় একটি
বুলডোজার একটি ভবনের পাশে ধাক্কা দিচ্ছে, আর লোকজন সেটির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।ইসরায়েলি
গণমাধ্যম জানিয়েছে, ২৫টি পরিবারকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের
বিরুদ্ধে দায়ী করা হামলার সংখ্যা বেড়ে গেছে, যার লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনিরা,
ইসরায়েলি ও বিদেশি বসতি-বিরোধী কর্মী এবং কখনো কখনো ইসরায়েলি সেনারাও।ফিলিস্তিনি
ভূখণ্ডে বেসামরিক বিষয়গুলো পরিচালনাকারী ইসরায়েলি সংস্থা কোগাট জানায়, ‘আইন ও
প্রযোজ্য বিধিবিধানের আওতায় এই সরিয়ে নেওয়ার কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে।’তারা এক
বিবৃতিতে বলেছে, ‘সাইটটিতে অপরাধমূলক কার্যকলাপ এবং গুরুতর সহিংসতার ঘটনাগুলো
এলাকার নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করেছিল।’আউটপোস্ট
ধ্বংসের দায়িত্বে থাকা কোগাটের বেসামরিক প্রশাসন বিভাগ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং
নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীরে ‘আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার’ কাজ চালিয়ে যাবে, বিশেষ
করে ‘অবৈধভাবে নির্মিত কাঠামোর বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে,’ যা ‘এলাকার সব বাসিন্দার
নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলাকে ক্ষুণ্ন করে।যদিও পশ্চিম তীরের সব ইসরায়েলি বসতি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ, তবে
আউটপোস্টগুলো ইসরায়েলি আইনেও নিষিদ্ধ।বাসিন্দাদের
উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তায় গুশ এৎসিয়োন আঞ্চলিক কাউন্সিলের প্রধান ইয়রন রোজনথাল
বলেন, কাঠামোগুলো ভাঙা ছাড়া ‘আর কোনো উপায়’ ছিল না।তিনি বলেন,
‘ঐতিহাসিকভাবে, গুশ এৎসিয়োনে বসতিগুলো সবসময় পার্শ্ববর্তী বসতি, আঞ্চলিক কাউন্সিল
এবং বসতি কর্তৃপক্ষের সম্মতিতেই নির্মিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রে কেউই নির্মাণের সমন্বয়
করেনি।ইসরায়েল ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে এবং এখন সেখানে
পাঁচ লাখেরও বেশি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছে।একটি
সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত, আর ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ,
ইসরায়েলি বাহিনী সাধারণত বসতি স্থাপনকারীদের গ্রেপ্তার করে না।২০২৩ সালের
অক্টোবরে হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়ে গেছে।
পশ্চিম
তীরে ইসরায়েলি বাহিনী বা বসতি স্থাপনকারীদের হাতে কমপক্ষে এক হাজার ছয় জন
ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
কপিরাইট © ২০২৫ ধ্রুবকন্ঠ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত