রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার এক কিশোর ১২ দিন পর মারা গেছে। নিহত
কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে।
চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ
(রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে
সে মারা যান। এর আগে গত ২০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। রিপনের
এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিহাব ছিল সবার বড়। প্রচণ্ড
মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব গত ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায়
তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে গেলে তার প্রেমিকার
আত্মীয়-স্বজনরা তাকে তাড়া দেয়। শিহাব নিজেকে রক্ষা করতে রাতের অন্ধকারে মাঠের
মধ্যে দৌড় দেয়।
একপর্যায়ে শিহাব দিক হারিয়ে
অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এ সময় কিছু ব্যক্তিও পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু
করে। এরপর তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়।
একপর্যায়ে
শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে। এরপর লাঠি দিয়ে শিহাবকে আরো পেটানো হয়।
পরে
তাকে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। তারপর স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে
হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই তাকে আইসিইউতে লাইফ
সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখানেই সে আজ মারা যায়।
শিহাবকে
নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা রিপন গত ২৪ অক্টোবর রাতে রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২),
সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০)
এবং মো. কলিম (৩২) নামের নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৮-৯ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে
গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এদের কাউকেই গ্রেপ্তার
করতে পারেনি থানা-পুলিশ।
গোদাগাড়ী
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা
করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তিনি তার মৃত্যুর খবর শুনেছেন। ময়নাতদন্তের
পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর হামলার ঘটনায় আগেই করা মামলাটি এখন
হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।
.png)
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২৫
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার এক কিশোর ১২ দিন পর মারা গেছে। নিহত
কিশোরের নাম মো. শিহাব (১৭)। সে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে।
চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ
(রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিল শিহাব।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে
সে মারা যান। এর আগে গত ২০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। রিপনের
এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিহাব ছিল সবার বড়। প্রচণ্ড
মারধরের পর থেকেই সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব গত ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায়
তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে গেলে তার প্রেমিকার
আত্মীয়-স্বজনরা তাকে তাড়া দেয়। শিহাব নিজেকে রক্ষা করতে রাতের অন্ধকারে মাঠের
মধ্যে দৌড় দেয়।
একপর্যায়ে শিহাব দিক হারিয়ে
অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এ সময় কিছু ব্যক্তিও পুকুরে নেমে শিহাবকে মারধর শুরু
করে। এরপর তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়।
একপর্যায়ে
শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে। এরপর লাঠি দিয়ে শিহাবকে আরো পেটানো হয়।
পরে
তাকে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। তারপর স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে
হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই তাকে আইসিইউতে লাইফ
সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখানেই সে আজ মারা যায়।
শিহাবকে
নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা রিপন গত ২৪ অক্টোবর রাতে রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২),
সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০)
এবং মো. কলিম (৩২) নামের নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৮-৯ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে
গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এদের কাউকেই গ্রেপ্তার
করতে পারেনি থানা-পুলিশ।
গোদাগাড়ী
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা
করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তিনি তার মৃত্যুর খবর শুনেছেন। ময়নাতদন্তের
পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর হামলার ঘটনায় আগেই করা মামলাটি এখন
হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।
.png)
আপনার মতামত লিখুন