সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ৭ বছর বয়সী শিশু ছোঁয়া মনিকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় শিশুটির ফুপাতো ভাই মো. মনিরুল ইসলাম জিহাদকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রায়গঞ্জ আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জিহাদ।
গ্রেপ্তারকৃত জিহাদ উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা এবং নিহত ছোঁয়া মনি রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মীরের দেউলমুড়া গ্রামের সুমন শেখের মেয়ে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে নিহত শিশুটির মা আতিয়া পারভীনকেও গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক রতন জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে জিহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে যে, বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে সে ছোঁয়া মনিকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। ছোঁয়া মনি এ ঘটনা তার বাবা-মাকে জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে জিহাদ তাকে প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত টয়লেটের দেয়ালের সাথে আছড়ে হত্যা করে এবং লাশ সেখানেই ফেলে পালিয়ে যায়।
এসআই নাজমুল আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর জিহাদ বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে ছোঁয়া মনিকে খোঁজার নাটক করে এবং মাইকিংও করে। তবে টয়লেট থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে সে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে জিহাদের রক্তমাখা গেঞ্জি ও লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বিকেলে প্রতিবেশীর ভাঙা ও পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে ছোঁয়া মনির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির দাদী মোছা. ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনা সিরাজগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।