পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করার পরও বছরের পর বছর শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশনবিহীন থেকে পড়াশোনা করছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বহু শিক্ষার্থীরই রেজিস্ট্রেশন হয়নি। অথচ প্রতি বছর নিয়মিতভাবে রেজিস্ট্রেশন বাবদ অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।
অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, “আমার সন্তান টানা তিন বছর ধরে এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। প্রতি বছর রেজিস্ট্রেশনের ফি দিয়েছি। কিন্তু আজ এসে শুনলাম, অষ্টম শ্রেণি তো বটেই, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিরও কোনো রেজিস্ট্রেশন হয়নি।”
আরেকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গত বছর আমার মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। তখন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিল ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু আজ জানতে পারলাম, একটিও শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন হয়নি।”
অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলেছেন, এতদিন তাদের সন্তানরা কার অধীনে পড়াশোনা করেছে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রেশনের টাকা নিয়ে কাজ না করলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে। তাদের অভিযোগ, বিদ্যালয়টি অনিয়ম ও দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে।এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামের সঙ্গে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে অফিস কক্ষে দেখা না মেলায় মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার মো. মজিবুর রহমান এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন না হলে তাকে শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য করা যাবে না এবং সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগও পাবে না। এখন পর্যন্ত আমাদের দপ্তরে এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ধ্রুবকন্ঠ/এমআর