ঢাকাশনিবার , ২৬ জুলাই ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মার্কিন নাগরিকত্বের কথা স্বীকার করে জয় বললেন, একটি বাড়ির মালিক তিনি

ডেস্ক রিপোর্ট
জুলাই ২৬, ২০২৫ ৩:৫৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় দুইটি বাড়ির মালিকানা বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ব্যাখ্যা দেন। 

ইংরেজিতে দেওয়া এই পোস্টে জয় আমেরিকায় তার একটি বাড়ি থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার দাবি, ২০১৮ সালে তিনি এই বাড়িটি কিনেছেন। সম্পূর্ণ বৈধ আয়ে এই বাড়ি কেনা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে মার্কিন নাগরিকত্ব নেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন জয়।

জয় লিখেছেন, ‘সরকার নানা প্রতিবাদ ও চাপের মুখে রয়েছে। তাই তারা এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, ‘ভার্জিনিয়াতে আমার দুটি বাড়ি নেই। আমি একটি বাড়ির মালিক। আমি এটা ২০১৮ সালে কিনেছি, গত বছর নয়। গতবছর বিবাহ বিচ্ছেদের পর বাড়ির মালিকানা শুধু আমার নামে বদল করা হয়। অন্যটি আমার আগের বাড়ি, এটি বিক্রি করেই বর্তমান বাড়িটি কেনা হয়েছে। বাড়িটি যখন কেনা হয়, তখনকার চেয়ে এখন এটির দাম বেড়ে হয়েছে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন বা ১৮ কোটি টাকা। কেনার সময় আমাকে এর চেয়ে অনেক কম দাম দিতে হয়েছিল।’ 

জয় লিখেছেন, ‘কোনোভাবেই আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা নই। আমি একজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। আমি বৈধভাবেই অর্থ কামিয়েছি এবং এখানে ট্যাক্স দিয়েছি। এফবিআই আমার বিষয়ে অনুসন্ধান করেছে এবং কিছুই পায়নি। আর এ কারণেই ইউনূস সরকার আমার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করার পরে আমি দ্রুত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছি। আমেরিকায় প্রকৃত আদালত ও আইনের শাসন আছে। দুদক আমার সম্পত্তি জব্দ করতে চায়, আমি তাদের তা করতে চ্যালেঞ্জ করছি। আমার আইনজীবীরা দুদকের মোমেনের জন্য মার্কিন আদালতে তৈরি থাকবে।’ 

সজীব ওয়াজেদ আরও লিখেছেন, ‘এই দাবির মূল কারণ হলো আমার ঠিকানা প্রকাশ করা এবং আমার জীবন সংকটে ফেলা। আমেরিকায় আরেকটি বাস্তবতা আছে। এখানে আমরা যতগুলো সম্ভব আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রাখতে পারি। এর কোনো লিমিট নেই। এ কারণে আমি ভয় পাচ্ছি না। আত্মরক্ষার যথেষ্ট সক্ষমতা আমার আছে। আমার বাড়ি ৩২ নম্বর নয়। ইউনূস সরকার আমার কিছুই করতে পারবে না।