ঢাকাশুক্রবার , ১৮ জুলাই ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সিন্ডিকেটের খপ্পরে এবং চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে অসহায় গুলশান বনানীর ব্যবসায়ী

স্টাফ রিপোর্টার
জুলাই ১৮, ২০২৫ ২:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান ও বনানীতে পুর্বে ময়লা বাণিজ্য সহ সকল ব্যবসায় আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে গুলশান ও বনানী এলাকার ময়লা–বাণিজ্যে হাতবদল হয়েছে।

গুলশান এবং বনানীতে ময়লা-বাণিজ্য নিয়ে বেশ কয়েকবার দন্ধে জড়িয়েছেন বিএনপি, যুবদল এবং ছাত্রদলের কিছু নেতা কর্মীরা, এবং এতে জাতীয় কিছু পত্রিকায়ও খবর প্রচার করেছে।

গত ৯ই জুলাই দুপুর ৩ টার দিকে গুলশান থানার ৫২ নং রোডের ভাঙ্গা প্লটের সামনে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রুপ লোহার রড, লাঠি, এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সিটি কর্পোরেশন অনুমোদিত পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের উপর হামলা চালায় এতে বেশ কয়েকজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী মারাত্মক ভাবে আহত হয়। ময়লা পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা মোঃ আনিছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন উক্ত হামলায় অংশগ্রহনকারী সন্ত্রাসীরা হলো দেলোয়ার, বেলাল, শামীম, ফয়সাল, এমদাদ এবং অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জন। এই মর্মে ভুক্তভোগী মোঃ আনিছুর রহমান গুলশান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তিনি আরো বলেন উক্ত সন্ত্রাসীরা আমাদের কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করার পর সেখানে সেনাবাহিনীর একটি টিম উপস্থিত হলে তারা চলে যায় পরবর্তীতে সেনাবাহিনী চলে উক্ত সন্ত্রাসীরা পুনরায় আমাদের কাজে বাধা প্রদান করে।

উক্ত মামলার বাদী আনিছুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে উক্ত সন্ত্রাসীরা গুলশান থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এ মামুনের ছত্রছায়ায় এলাকায় নিয়মিত বিভিন্ন অপকর্ম করে। তিনি আরো বলেন এস.এ মামুন সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করে স্থানীয় আরো কিছু যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী যাদের মধ্যে রয়েছে গুলশান থানা যুবদলের সাখাওয়াত, ফারুক এবং শরিফুল গুলশান থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিস্কৃত নেতা জালাল এবং গুলশান থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক। তিনি বলেন গুলশান এরিয়ায় ময়লার টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্ব, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে ভাঙচুর এবং হুমকি দিয়ে তাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

জানা যায়, গুলশান ২ নম্বর কাঁচাবাজার মার্কেট দখল এবং চাঁদাবাজির ঘটনায় এই সিন্ডিকেটের প্রত্যক্ষ ইন্ধন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে প্রতিটি দোকান থেকে ৫০০০০ টাকা করে এককালিন এবং মাসিক ১৫ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে তারা।

তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বারবার অভিযোগ দিলেও ঢাকা ১৭ আসনের বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার লোক পরিচয় দেওয়ার কারনে তাদের বিরুদ্ধে কেউ পদক্ষেপ নিতে সাহস পায় না। এবং তাদের বিরুদ্ধে মহাখালীর সপ্তর্ষী ক্লাব যেটা আওয়ামী লীগের টর্চার সেল ছিল সেটা দখল করে সেখান থেকে মহাখালী, গুলশান, বনানীর বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রনের অভিযোগ রয়েছে।

ধ্রুবকন্ঠ/এসপি